*****এডভোকেট কাজী মোঃ সাজাওয়ার হোসেন******
এডভোকেট এ.কে.এম. আমিন উদ্দিন (মানিক)
বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি, , জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মঞ্চের কাছাকাছি থেকে শ্রবনকারী এবং একজন নিবেদীত প্রাণ ত্যাগী আওয়ামী লীগ নেতা।
তিনি ১৯৪৬ সনের ২৫ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানাধীন রূপসী গ্রামে নানার বাড়িতে জন্ম গ্রহণ করেন। নিজ পৈত্রিক বাড়ি একই জেলার আড়াইহাজার থানাধীন আড়াইহাজার ইউনিয়নের কামরানীরচর গ্রামে শৈশবে বড় হয়েছেন।। বর্তমানে ঢাকার খিলগাঁয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস করেন এবং সাজাওযার এন্ড এসোসিয়েটস, মেহেরবা প্লাজা, রুম নং ১৫/এ,ষোল তলা,৩৩ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০ ও রুম নং ৪০০৬,এনেক্স ভবন,সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতিতে চেম্বার নিয়ে আইনপেশা পরিচালনা করে আসছেন। পিতা ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারী চাকুরীজীবী মরহুম কাজী আবদুস সালাম ও মাতা মরহুম জাহানারা বেগম । ৪ ভাই ও এক বোনের মধ্যে তিনি সবার বড়।
তিনি দাদা মরহুম কাজী বসির উদ্দিনের সম্পত্তিতে প্রতিষ্ঠিত কামরানীরচর প্রি প্রাইমারী স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন। পাঁচগাঁও বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ’৬৩ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে এস.এস.সি পাশ করেন। ম্যাট্রিকুলেশন পদ্ধতি থেকে এস.এস.সি প্রথম ব্যাচে পাশ করেন। জগন্নাথ কলেজ থেকে ’৬৫ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞানে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ’৬৭ সনে বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ’৬৭-৬৯ বর্ষের ,৬৯ সনের পরীক্ষার্থী হয়ে ’৭০ সনে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৬৮-৭০ সনের বর্ষে ইতিহাসে মাস্টাসর্ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯৬৭-৬৯ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের নির্বাচিত সদস্য ছিলেন । বার কাউন্সিল থেকে ১ ফেব্রুয়ারী ’৭১ সনে আইনপেশা পরিচালনার সনদ নিয়ে এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ’৭২ সনের প্রথম দিকে তিনি ঢাকার সিদ্ধেশ্বরী কলেজ নতুন জায়গায় স্থানান্তরের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে কাজ করেন এবং একই সাথে আইনপেশার পাশাপশি সকালে ও রাতে ক্লাশ নেওয়ার শর্তে প্রভাষক হিসাবে অধ্যাপনার কাজ শুরু করেন। প্রায় ৪ বছর তিনি অধ্যাপনার কাজ করেন। ’৭৮ সনের ২৫ মার্চ তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে আইনপেশা পরিচালনা অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে ’৮৯ সনে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সদস্য পদ গ্রহণ করেন। ২০১০ সনের ২৩ আগস্ট তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্টের আ্যপিলেট ডিভিশনে আইনপেশা পরিচালনার জন্য অনুমতি প্রাপ্ত হন।
তিনি ১৯৯৬-৯৭ সনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি ও ২০০৯-১০ সনে বাংলাদেশ সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। বর্তমানে বাংলাদেশ আওযামী আইনজীবী পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য।
তিনি কলেজে পড়াকালীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বক্তব্যে অণুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। ’৬৬ সনে ৬ দফা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। ’৬৮ সনে ছাত্রলীগের ঢাকা শহর উত্তরের সভাপতি ছিলেন এবং সাথে সাথে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের উত্তরের সভাপতি ছিলেন ও মরহুম জননেতা আবদুর রাজ্জাক ও তোফায়েল আহম্মেদের সাথে কাজ করেছেন।। ’৬৯ সনে ছাত্র গণঅভ্যূথানে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুবর রহমানের ১৯৭১ সনের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে মঞ্চের খুব কাছাকাছি থেকে শ্রবন করেছেন। সে দিন ছাত্রলীগ ঢাকা শহর উত্তরের সভাপতি হিসেবে কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রীর নেতৃত্ব দিয়ে সমাবেশে যোগদান করেছিলেন। মঞ্চের দক্ষিণ পশ্চিমে মঞ্চের পাশে দাঁড়ান। পুরো বক্তব্য মন্ত্রমুগ্ধের মত শুনেছেন। জাতির জনক “জয় বাংলা” বলে বক্তব্য শেষ করেছেন তা এখনো কানে বাজে। জাতির জনকের বক্তব্য শুনে লোকজনকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য সংঘটিত করার কাজ শুরু করেন। তাঁর নেতৃত্বে সিদ্ধেশ্বরী স্কুলে প্রতিদিন সকালে ডামি রাইফেল দিয়ে একজন আনসার এডজুডেন্ট প্যারেড করাতে থাকেন। সেই প্যারেডে তখনকার ছাত্রলীগ ঢাকা শহর উত্তরের নেতা বর্তমান এম.পি. গোলাম দস্তগীর গাজী, কাওছার, ফারুক ও ময়না সহ আরো অনেকে ছিলেন। অনেকে ছাত্রদের সহযোগিতা করার কাজে সহায়তা করেছেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের খবরাখবর প্রদানের কাজে নিয়োজিত ছিলেন ও মুক্তিযোদ্ধাদেরকে গ্রামের বাড়িতে ও মামার বাড়িতে রেখে সহায়তা করেছেন।
তিনি ’৭১ সনের ২৫ মার্চ কাল রাত্রীর কথা স্মরণ করতে গিয়ে বলেন সে দিন ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সভাপতি হিসেবে ছাত্রদেরকে নিয়ে বাংলামোটর পর্যন্ত গিয়ে ব্যারিকেড দেওযার চেষ্টা করেন কিন্তু পাকহানাদারদের কামানের গোলার গরগর আওয়াজ শুনে তাঁরা মগবাজার হয়ে সিদ্ধেশ্বরী মৌচাকের সামনে এসে যে যার পথে চলে যান। । ঐ দিন রাতে সিদ্ধেশ্বরী বাসায় রাতে গোলা এসে পড়েছিল। পর দিন সকালে ঢাকা শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী গোলাম মোস্তফা এম.পি. গোলার চিহ্ন দেখতে এসেছিলেন। ২৬ মার্চ সকালে সিদ্ধেশ্বরী বাসায় পাকহানাদাররা প্রবেশ করে। তারা সকলকে দোতলা থেকে মারার উদ্দেশ্যে নিচে নামিয়ে আনছিল,এমন সময় দেওয়ালে টাঙ্গানো রবীন্দ্রনাথের ছবিকে মাওলানা ভাসানীর ছবি মনে তাঁকেসহ সবাইকে ছেড়ে দেয়। সে দিন যাদেরকে বাড়ির বাহিরে নিচ্ছিল সবাইকে গুলি করে হত্যা করছিল।
তিনি ১৯৭৩ সনের ১৯ এপ্রিল ঢাকার খিলগাঁও নিবাসী অবসর প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা মরহুম হুমায়ুন কবিরের মেয়ে ফেরদৌসী বেগমকে বিয়ে করেন। ফেরদৌসী বেগম জগন্নাথ কলেজ থেকে বাংলায় (অনার্স) ডিগ্রিধারী। ছেলে মেয়ের পড়াশুনার চিন্তা করে চাকুরীতে যোগদান করেননি।
তিনি একপুত্র ও এক কন্যা সন্তানের জনক।
পুত্র এডভোকেট মোঃ তৌফিক সাজাওয়ার (পাথর্)। সে এস.এস.সি-তে বিজ্ঞানে ষ্টার মার্ক নিয়ে প্রথম শ্রেণি এবং এইচ.এস.সি-তে কমার্সে প্রথম শ্রেণি প্রাপ্ত। ঢাকা ইন্টারন্যাশানাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি(অনার্স),এলএল.এম. করে বর্তমানে হাইকোর্টে আইনপেশায় নিযোজিত আছেন। পার্থের স্ত্রী রুমানা আহম্মেদ অতিশ দীপংকর বিশ্ববিদ্যালয়ের বনানী শাখার লেকচারার ও মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরী স্কুল এন্ড কলেজে শিক্ষকতা করেন। রুমানা অর্থনীতিতে বি.এ (সম্মান) এম.এ ও এম.বি.এ -তে প্রথম শ্রেণি প্রাপ্ত।
কন্যা এডভোকেট ফারিয়া সাজাওয়ার,এস.এস.সি-তে প্রথম শ্রেণী ও এইচ.এস.সি-তে ২য় শ্রেণি প্রাপ্ত। ঢাকা ইন্টারন্যাশানাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল.বি(অনার্স), এলএল.এম করে বর্তমানে হাইকোর্টে আইনপেশা পরিচালনা ও সাথে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী স্বামী শিবলী মোস্তফা এর ব্যবসা দেখাশুনা করছেন। শিবলী মোস্তফা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজীতে বি.এ(অনার্স),এম.এ ডিগ্রীধারী। জনাব সাজাওয়ার হোসেন নাতী-নাতনীসহ সবাইকে নিয়ে আনন্দে দিন কাটাচ্ছেন।
তিনি সারাজীবন বিভিন্ন সামাজিক কাজ করে যাচ্ছেন। ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে সংগঠন করেন। প্রথমে সেটি ছিল সাধনা ফোরাম.বর্তমানে সাধনা সংসদ, তিনি প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী সভাপতি ছিলেন। ডঃ মাজহারুল ইসলাম ছিল সভাপতি, প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন ডঃ এম.এ. ওয়াজেদ মিয়া। ডঃ মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুর পর ডঃ এস.এম. কিবরিয়া সভাপতি ছিলেন এবং ডঃ কিবরিয়া অর্থমন্ত্রী হওয়ার পর পদ ছেড়ে দেন। বর্তমানে জনাব সাজাওয়ার হোসেন উক্ত সংগঠনের সভাপতি।
তিনি ছাত্রজীবনে এলাকায় সামাজিক সংগঠন করেছেন। তার মাধ্যমে প্রাথমিক নৈশ বিদ্যালয় পরিচালনা করেন। অনেকে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করার সুযোগ পায়, তাদের মধ্যে অনেকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করে এবং সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়। এলাকার পৈত্রিক সম্পত্তিতে ঈদগাহ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর পিতা ঈদগার প্রতিষ্টাতা সভাপতি ছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে প্রধান উপদেষ্টা, এলাকার মসজিদেরও প্রধান উপদেষ্টা, মসজিদ প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ছাত্রজবিন থেকে ব্যাপক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিল এলাকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি, পিতার মৃত্যুর পরে তিনি সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। পাঁচগাঁও হাই স্কুলের সাবেক সভাপতি এবং আড়াইহাজার সফর আলী বিদ্যালয়ের সাবেক সদস্য।
তিনি বৃহত্তর ঢাকা আইনজীবী কল্যাণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য সচিব ছিলেন। বৃহত্তর ঢাকা কল্যাণ সমিতির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহ-সভাপতি। তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি ও গাজীপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য, ঢাকা আইনজীবী সমিতির আজীবন সদস্য। গ্রেটার ঢাকা রোটারী ইন্টারন্যাশানালের সভাপতি ছিলেন। ব্লাস্ট ঢাকা ইউনিটের তিনি সহ-সভাপতি ছিলেন।
তিনি আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলার বাদী পক্ষে প্রধান কৌশলী, মুফতি হান্নানের বিরুদ্ধে অস্্র মামলায় প্রধান কৌশলী হিসেবে ছিলেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ২০০৭ সনে ওয়ান ইলেভেনের সময় আজম জে চৌধুরীর মামলায়,মিগ- ২৯, ওয়াটসিলা,বার্জ মাউন্টেট মামলায় ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ, এডভোকেট সাহারা খাতুন ও এডভোকেট মোঃ কামরুল ইসলাম সহ অন্যদের সাথে ছিলেন । তিনি শেখ রেহানার বাড়ির কেয়াটেকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ফৌজদারী মামলায় প্রধান কৌশুলী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওয়াটসিলা মামলার পরিচালনায় শেখ হাসিনা সহ ডঃ তোফিক এলাহী চৌধুরীরর মামলায় অন্যতম একজন কৌশুলী ছিলেন। তিনি ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০০৮ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আইনজীবী হিসেবে ব্যারিস্টার শফিক আহম্মেদ, এডভোকেট সাহারা খাতুন সহ অন্যান্য আইনজীবীদের সাথে কানাডার আইনজীবী উইলিয়াম স্লন এর সহিত আলোচনায় উপস্থিত থেকে নেত্রীর মামলার বিষয়ে আইন গতদিক ব্যাখা করেন। তিনি বলেন শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলাসমূহ ষড়যন্ত্রমূলক,ভিত্তিহীন ও মিথ্যা অভিযোগে দায়ের করা হয়। ওবায়দুল কাদেরের ইনকাম ট্যাক্সের মামলা আইনজীবী হিসেবে হাইকোর্টে পরিচালনা কাজ করেছেন। এছাড়া শহীদ জননী জাহানা ইমাম, সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী মামলা পরিচালনায় ছিলেন। বাহাউদ্দিন নাসিম, ডঃ মহি উদ্দিন আলমগীর, সাবের হোসেন চৌধুরী সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের মামলায় নি¤œ আদালত ও বিশেষ জজ আদালতে ছিলেন। ২০০১ সনে বি.এন.পি জামায়াত জোট কর্তৃক আওয়ামী লীগ, যুব লীগ, ছাত্র লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অধিকাংশ মামলায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল ও সাবের হোসেন চৌধুরীরর সাথে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা দায়েরের জন্য রমনা ও মতিঝিল থানায় গিযেছিলেন । তাঁরা যাওয়ার আগেই মতিঝিল থানার পুলিশ মামলা দায়ের করে। পরে তাঁদের দায়েরকৃত এজাহার জি.ডি হিসাবে অন্তর্ভ’ক্ত করা হয়। তিনি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার প্রথম দিকে নিয়মিত আদালতে গিয়েছিলেন। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি হোসেন মোহাম্মদ এরশাদের এর সাবেক স্ত্রী বিদিশার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা পরিচালনা করেছেন।
তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চান, দেশে আইনের শাসন চান, তিনি ছাত্রজীবনে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা শুনার জন্য হাইকোর্টে গিয়েছিলেন, সাথে পরবর্তীতে বিচারপতি জনাব মার্জিউল হক ছিলেন। তিনি বিচারপতি মর্জিউল হকের সহপাঠি। তিনি বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িতে ১৯৭১ সনের ৩ মার্চের পর থেকে তাঁর বক্তব্য শুনার জন্য প্রতিদিন যেতেন। বঙ্গবন্ধুর সাথে পুরানা পল্টনের আওয়ামী লীগের অফিসে বহু বার দেখা হয়েছে। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধুকে কাকরাইল/সার্কিট হাউস রোডস্থ আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে জুলিও কুরী উপাধি দেওয়ার দিন তিনি সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বঙ্গবন্ধু আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা জেলে থাকার পর জেল থেকে জামিন পেয়ে বের হলে রাজারবাগ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে সভায় তাঁর সাথে দেখা হয়। পরেও তিনি বঙ্গবন্ধুকে বিভিন্ন সময় ও স্থানে দেখেছেন । প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এডভোকেট মোঃ জিল্লুর রহমানের সাথে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে বহুবার গনভবনে, বিশেষ আদালতে দেখা হয়েছে। তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল। তিনি আওয়ামী লীগের সক্রীয় কর্মী । তিনি মনে করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক।
তিনি ডঃ কামাল হোসেনের গণফোরামের সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন। পরে বুঝতে পারেন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বই সঠিক নেতৃত্ব, তাই ২০০১ সনে কয়েকশত আইনজীবীসহ ধানমন্ডি আওযামী লীগ কার্যালয়ে যোগদান করেন।
যাদের পিতামাতা ’৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন তাঁদের নিরাশ্রয় শিশুদের জন্য বেইলী রোডের ১নং নওরতন কলোনী ভবনে নিরাশ্রয় শিশু কল্যাণ সংস্থা (Destitute Child Welfare Organization ) নামে একটি সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। যার মাধ্যমে শিশু ছেলেদেরকে সিদ্ধেশ্বরী স্কুল ও মেয়েদেরকে ভিকারুন্নেছা স্কুলে পড়ার ব্যবস্থা করেন। পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠানটি রেডক্রস এতিমখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। তখন সভাপতি হিসেবে গাজী গোলাম মোস্তফা এতিমখানার দায়িত্ব নেন।তিনি ছিলেন এতিমখানার সাধারণ সম্পাদক । তিনি শহীদ জননী জাহানা ইমামের সাথে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটিতে কাজ করেছেন।
তিনি আইনপেশায় বিশিষ্ট আইনজীবী মির্জা গোলাম হাফিজের শিক্ষানবীশ হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে বিচারপতি আবদুল আজিজের জুনিয়র হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া সিনিয়র আইনজীবী সর্বজনাব ডঃ কামাল হোসেন, ব্যারিস্টার এম.আমীর-উল ইসলাম, বিচারপতি আবদুল মালেক, ডঃ জহির, বিচারপতি আনসার আলী, বাবু সুধাংশু শেখর হালদার, সিরাজুল হক, জহির উদ্দিন, জহুর উদ্দিন, রমজান আলী খান, আমজাদ আলী, আবদুল মজিদ, আক্কাস আলী এর সাথে ঘনিষ্টভাবে কাজ করার সুযোগ হয়েছে।
তিনি ডাঃ ইব্রাহিমের সাথে মাতুয়াইলে জিরো পপুলেশন গ্রোথের কাজ করেছেন। রামকৃষ্ণ মিশনে নিয়মিত স্বামী অক্ষরানন্দ মহারাজের সাথে কাজ করেছেন। ফাদার টিমের সাথে কাজ করেছেন রোটারী ক্লাবের মাধ্যমে নিজ এলাকা আড়াইহাজার থানার কামরানীরচর গ্রামে আই ক্যাম্প, ডেন্টাল ক্যাম্প স্থাপন করেন ও চিকিৎসা সেবা প্রদান করেছেন। ঢাকা শহরে বিভিন্ন জায়গায় শিশুদেরকে পলিও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছেন। দুঃস্থদের মধ্যে বস্ত্র ও খাদ্য বিতরণ এবং হেলথ কেয়ারের ব্যবস্থা করেছেন। তিনি একজন রোটারী পি.এইচ.এফ(PHF)।
তিনি ভারত, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন সফর করেছেন।
তাঁর রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে স্ত্রী সবসময় উৎসাহ যুগিয়েছেন। তিনি একজন পরিছন্ন সৎ মানুষ,বাকী জীবনটাও একইভাবে কাটিয়ে দিতে চান। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয়কর্মী ও সমর্থক।
তাঁর সখ পড়াশুনা,সমাজসেবা। তিনি রবীন্দ্রসঙ্গীত,লালনগীতি,নজরুলগীতি, অতুলপ্রসাদ এবং বাংলা সাহিত্য যথাক্রমে রবীন্দ্র,বঙ্কিম, হুমায়ুন আহম্মেদ ও নির্মেলেন্দু গুণ সাহিত্যের ভক্ত। ছাত্রজীবনে আবৃত্তি,নাটক ও খেলাধূলায় পারদর্শী ছিলেন। ফুটবল ছিল তাঁর প্রিয় খেলা,বর্তমানে ক্রিকেট খেলা খুব পছন্দ করেন।। তিনি একজন সংস্কৃতিমনা ব্যক্তি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর প্রিয় ব্যক্তিত্ব।
তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার রাজনীতিতে বিশ্বাসী, একজন দক্ষ আইনজীবী, আইনপেশায় ও সমাজসেবায় এবং স্বাধীনতার পক্ষে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য অনেক পুরস্কৃত হয়েছেন। তিনি আমার আইনপেশায় ইনিটমেশন সিনিয়র ছিলেন। আমি সহ কয়েকশত আইনজীবী তাঁর আইনজীবী জীবনে জুনিয়র হিসেবে কাজ করে আইনপেশায় সফলতা অর্জন করেছেন। তিনি অত্যন্ত মেধা, দক্ষতা ও সততা ও সুনামে সাথে আইনপেশা পরিচালনা করে আসছেন।
সাক্ষাৎকারটি ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৫ গৃহিত।
No comments:
Post a Comment