এডভোকেট মোস্তফা আবুল হোসেন
এডভোকেট এ.কে.এম. আমিন উদ্দিন (মানিক)
সাং-বড়বেরাইদ,থানা-বাড্ডা,ঢাকা। মুক্তিযুদ্ধে কলিকাতার শেকসপিয়র সরণীতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী অফিসে এবং মেঘালয়ের তোরা ও দুবরি শরণার্থী ক্যাম্পে দায়িত্ব পালনকারী এক অনন্য সাধারণ আইনজীবী।
পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মরহুম মোজাফ্ফর হোসেন ও মাতা মরহুম সেরাফুন্নেছা । জন্ম ১ নভেম্বর ১৯৫১ সনে । ৩ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে তিনি ২য় । বাবার চাকুরীর সুবাধে ময়মনসিংহে শিক্ষাজীবন কেটেছে। ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত নাছিরাবাদ হাই স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি ও ’৬৭ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে এস.এস.সি. পাশ করেন। ময়মনসিংহ শহরে তৎকালীন আক্তারুজ্জামান কলেজ বর্তমানে ময়মনসিংহ কলেজ থেকে ঢাকা বোর্ডের ’৬৯ সনে এইচ.এস.সি পাশ করেন। ময়মনসিংহ নাছিরাবাদ কলেজ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ’৭২ সনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন এবং আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইতিহাসে ’৭৮ সনে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেন। ময়মনসিংহ ল’ কলেজ থেকে ’৭৯ সনে ল’ ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ২২ আগষ্ট ’৮১ সনে সনদ নিয়ে ময়মনসিংহ আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করে আইন ব্যবসা শুরু করেছিলেন। পরে ১৮ আগষ্ট ’৮৪ সনে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে যোগদান করেন।
তিনি ২০০৩-২০০৪ সনে ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম মেম্বার এবং ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা। বেরাইদ মুসলিম হাই স্কুলের সভাপতি ও আগারগাঁও মসজিদ কমিটির সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বেরাইদ রহমত উল্লাহ কলেজের পরিচালনা কমিটির সদস্য।
তিনি একজন প্রতিথযষা সিভিল আইনজীবী, বর্তমানে ঢাকা জেলা জজ আদালতে অতিরিক্ত জি.পি. হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন।
আওয়ামী পরিবারের সন্তান এই আইনজীবী ’৬৭ সনে বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যোগদান ও ময়মনসিংহ কলেজ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং ’৬৯ সনে গ্রেটার ময়মনসিংহ ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের সহ-সভাপতি ছিলেন।
তিনি ময়মনসিংহ শহরে নওমোহন ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দীর্ঘদিন সেক্রেটারী ও ময়মনসিংহ সিটি আওয়ামী লীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন।
১৯৭১ সনে মহান মুক্তিযুদ্ধে কলিকাতার শেকসপিয়র সরণিতে স্বাধীন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী অফিসে ছাত্রলীগ থাকার সুবাধে মুজিবনগর সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম ও অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের সাথে থেকে কাজ করেছেন এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের নির্দেশে মেঘালয়ের তোরা ও দুবরি ক্যাম্পের শরনার্থীদের রিলিফ বন্টনের দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশ স্বাধীন হলে তিনি দেশে ফেরত আসেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে ছাত্রজীবন থেকে ব্যক্তিগত ভাবে চিনতেন ও স্নেহ করতেন। তিনি আজীবন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ও আওয়ামীলীগের সেবক হিসেবে কাজ করেছেন। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ডুমনী স্কুল মাঠে তাঁর পরিচালনায় জনসভা করেছিলেন এবং মাতুয়াইল মাঠে নির্বাচনী জনসভায় বঙ্গবন্ধুর সাথে গিয়ে ছিলেন। জাতির জনক তখন তেজগাঁও আসন থেকে এম. এন.এ. নির্বাচন করেছিলেন। তিনি আরো জানান জাতির জনকের বিরুদ্ধে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার সময় অনেক নেতাকর্মীকে খুঁজে পাওয়া যেত না । মরহুম শামসুল হক এম.পি ও মরহুম হাতেম আলী তালুকদার এম.পি-কে সবসময় কাছে পেয়েছেন ।
তিনি ’৮৪ সনে বেরাইদের ব্যবসায়ী মরহুম আলহা্জ্ব রহীম উল্লাহ এর মেয়ে রোকেয়া মোস্তফাকে বিয়ে করেন। তিনি ও ঢাকা-১১ আসনের এম.পি. এ.কে.এম রহমত উল্লাহ উভয়ে একে অপরের ভগ্নিপতি।
তিনি তিন মেয়ের জনক। ১. তাসলিম জাহান(তানী) বিবিএ, স্বামী মো: সাইদ এম.বি.এ. যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহামায় স্বপরিবারে ব্যবসারত । ২.সারিয়া জাহান (সানি) এম.এ (ইংরেজী) স্কলাসটিকা স্কুলের টিচার ছিলেন,বর্তমানে মিচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকে কর্মরত। ৩. ফারিয়া জাহান (রেনী) এবার এস.এস.সি পাশ করেছে।
আমি তাঁকে একজন সাদা মনের মানুষ ও ন্যায়পরায়ণ আইনজীবী হিসেবে সবসময় দেখে আসছি।
সাক্ষাৎকারটি ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৪ গৃহিত ।

No comments:
Post a Comment