অধ্যক্ষ আবুল কালাম আযাদ
এডভোকেট এ.কে.এম.আমিন উদ্দিন (মানিক)
নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ থানাধীন জালাল উদ্দিন কলেজের অধ্যক্ষ, আমার ভগ্নিপতি ।
পিতা মরহুম তোফায়েল আহম্মেদ বাংলাদেশ পুলিম বিভাগ থেকে এ.এস.পি হিসেবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন । মাতা মরহুম তায়েফা খাতুন । বাড়ি নোয়খালী জেলার চৌমুহনী পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামে মৃধ্যা বাড়ি । বর্তমানে চৌমুহনী এস এ কলেজের পূর্বপাশে বাড়ি করেছেন তাঁর মরহুম পিতা ।
সাত ভাই একবোনের সংসারে তিনি সবার বড় । জন্ম ২০ ডিসেম্বর ১৯৫৮ । পিতার চাকুরীর সুবাধে কুমিল্লা হাইস্কুল প্রাইমারীতে পড়াশুনা করেছেন । কুমিল্লা জেলা স্কুল, কুমিল্লা রেসিডেন্টসিয়াল মডেল স্কুল বর্তমানে ক্যাডেট কলেজ ও পরে চৌমুহনী মদন মোহন স্কুল থেকে এস.এস.সি পাশ করেন এবং লাকসাম ফয়জুন্নেসা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেছেন । চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয় থেকে রাষ্টবিজ্ঞানে অনার্স ও মাস্টার্স করেছিলেন । তিনি শাহ জালাল হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন । শাহজালাল হল শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন । ,৮২ সনে এরশাদ বিরোধী ছাত্র আন্দেলনে চট্রগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন । মিছিলের সময় বন্ধু মোজাম্মেল মৃত্যৃ বরণ করে, তিনি সহ অনেকে মারাত্বকভাবে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন । যা এখনো স্মৃতিতে ভাস্বর হয়ে কষ্ট দেয় । ছাত্র জীবন শেষে নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য ও সক্রিয় কর্মী হিসেবে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করেন । পরে ১৯৮৭ সনে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক হিসেবে জালাল উদ্দিন কলেজে যোগদান করেন । ’৯৭ সনের আগস্ট মাসে একই কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন । ’৯৮ সনে নোয়াখালী জেলার উপজেলা কলেজ পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন । বর্তমানে বাংলাদেশ কলেজ- বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নোয়াখালী জেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য । তিনি নায়েম এবং বি.এম. প্রতিষ্ঠান প্রধানদের কোর্সে অংশ গ্রহণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড কুমিল্লার পৌরনীতি বিষয়ক পরীক্ষক ও প্রধান পরীক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন । এছাড়া বহু সামজিক ধর্মীয় সংগঠনের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত ।
তিনি ১৯৮৭ সনের ২৮ সেপ্টেম্বর একই জেলার কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন বসুরহাট পৌরসভাধীন অবসর প্রাপ্ত মহকুমা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মরহুম হাজী সামছুল হক ও মরহুম হাজী আমেনা খাতুনের মেয়ে আমার ছোট বোন ফাতেমা খাতুন কে বিয়ে করেন । ফাতেমা তখন ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছিল আমাদের কোম্পানীগঞ্জ থানাধীন সরকারী মুজিব কলেজ থেকে । পরে ফাতেমা চৌমুহনী এস.এ. কলেজ থেকে ডিগ্রি পাশ করেছে । তাদের তিন ছেলে । বড় ছেলে রিদওয়ান আহম্মেদ অমি যুক্তরাজ্যের মিডল সেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আই.টি-তে মাস্টার্স করছে । পাশাপাশি অমি লন্ডনে চ্যানেল আই ইউরোপ শাখার ষ্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছে । ২য় ছেলে মুন্তাকিম আহম্মেদ সানী যুক্তরাজ্যের বেলফেস্টে কুইন বিশ্ববিদ্যালয়ে সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং-এ পড়ছে । ছোট ছেলে আশফাক আহম্মেদ অনি, নুর মোহাম্মদ রাইফেলস পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজে ইন্টামিডিয়েট পড়ছে ।
১৯৮২ সনে মায়ের অকাল মৃত্যু হলে সংসারে ছোট-ভাই বোনদের দেখার দায়িত্ব পড়ে যায় তাঁর কাঁধে । বাবা চাকুরীর কারণে ছিলেন ব্যস্ত । সুঠাম দেহের অধিকারী, লম্বা ও আকর্ষণীয় চেয়ারা হওয়ার কারণে বিদেশী বড় বড় কোম্পানীতে চাকুরীর প্রস্তাব পেয়েও ভাই-বোনদের কথা চিন্তা করে কোথায়ও চাকুরী নেননি । আবুল কালাম আযাদের ভাইয়েরা আজ সকলে সুপ্রতিষ্ঠিত ।
১. ডাঃ মঞ্জুর মোঃ শাহজাদা সাজু বাংলাদেশ কৃষি বিশ^বিদ্যালয থেকে ভ্যাটেনারীতে এম.এস.সি ডিগ্রি অর্জন করেছেন । বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় পশু হাসপাতালে সিনিয়র সাইন্টিফিক অফিসার হিসেবে কর্মরত আছেন এবং স্ত্রী দিলওয়ারা আলো সিনিয়র সহকারী সচিব হিসাবে বঙ্গভবনে আপন বিভাগে কর্মরক আছেন ।
২. এডভোকেট মঞ্জুর মোঃ শাহনেওয়াজ টিপু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএল. এম. করে বর্তমানে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্র্যাকটিস করছেন এবং সাথে সাথে বি.ডি. আর বিদ্রোহের স্পেশাল পি.পি. দায়িত্ব পালন করছেন ।
৩. ডাঃ মঞ্জুর মোঃ শওকত কচি এম.বি.বি.এস, এম. এস সি কার্ডিওলজী যুক্তরাজ্যের লন্ডনে ইম্পেরিয়াল ট্রাস্টে
টিউটর হিসাবে আছে ।
৪. মঞ্জুর মোঃ শাহরিয়ার টিটু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে এম.এস.এস করে বর্তমানে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত আছে ।
৫. মঞ্জুর মোঃ সাইফুল আজম এফ.সি এম. বর্তমানে ল্যাব এইড গ্রুপের সি.এফ ও হিসেবে কর্মরত আছে ॥
৬. মঞ্জুর এলাহী রানা এম.এস.সি,এম.বি.এ. বর্তমানে বি.জি.বি-তে ফাস্ট ক্লাশ কন্টাক্টর হিসেবে কাজ করছে ।
একমাত্র বোন শান্তি ভাই-বোনদের মধ্যে ৩য় । স্বামী ছিলেন মরহুম নুরুল আহাদ । গ্রামের বাড়ি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে । তিনি সিনিয়র প্রিন্সিপল অফিসার, অগ্রণী ব্যাংকে কর্মরত ছিলেন ।
ভাই-বোনদের জন্য আযাদের অবদান অপরিসীম । যা বর্তমান সমাজে বিরল । চাকুরী জীবনে ও জীবনের শুরুতে প্রচন্ড মানুষিক চাপে পড়ে আজ আযাদ ডায়বেটিসসহ নানাবিধ রোগে আক্রান্ত । গত কিছুদিন পূর্বে করোনারী ইনজিও গ্রাম ( হার্টের রিং লাগানো হয়েছে । বর্তমানেও কয়েকদিন যাবৎ হাসপাতালে ভর্ত্তি । কলেজের অধ্যক্ষের চাকরী করতে গিয়ে কাহাকেও তোষামদি না করায় পড়তে হয়েছিল মিথ্যা হত্যা মামলায় । পড়েছেন ক্ষমাসীনদের রোষানলে বার বার ।

No comments:
Post a Comment