Sunday, 8 November 2015

বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এস.এম. মোশতাক আহম্মেদ-এর জীবনী












                                                                 

                                       বীরমুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এস.এম. মোশতাক আহম্মেদ





এডভোকেট এ.কে.এম.আমিন উদ্দিন (মানিক)



জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ সোহরাওয়ার্দ্দী উদ্যানে মঞ্চের ১০০ গজের মধ্যে থেকে শ্রবণকারী, নোটারী পাবলিকার একজন ন্যায়পরায়ণ আইনজীবী ।
গ্রাম- চাঙ্গুরী, পো: বেতকাহাট, থানা- টঙ্গীবাড়ি, জেলা-মুন্সীগঞ্জ ।
বর্তমানে, ২০/বি উত্তর মাদারটেক , বাসাবো,সবুজবাগ, ঢাকা ।
চেম্বার-১৪, কোর্ট কোর্ট হাউজ ষ্ট্রীট, আসমা মঞ্জিল (নীচ তলা),কোতয়ালী, ঢাকা- ১১০০ ।
কৃষক পিতা মৃত এস.কে. মাইনুদ্দিন ও মাতা মৃত নুরজাহান বেগমের ঘরে পিত্রালয়ে ২৪ জুলাই ১৯৫৭ সনে জন্ম । পিতা কৃষক হলেও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁকে সরাসরি চিনতেন ও পরিচয় ছিল ।
তিনি টঙ্গীবাড়ি মন্টু মাস্টারের স্কুলে ১ম-থেকে ৩য় শ্রেণি পর্যন্ত ও বেতকা প্রাইমারী স্কুলে ৪র্থ থেকে ৫ম শ্রেণি পড়েন । ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণি সাবেক ইউনিয়ন ইনস্টিটিউশন পাইকপাড়া বর্তমানে পাইকপাড়া ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েন এবং ১৯৭১ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান বিভাগে এস.এস.সি পাশ করেন । মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজে ’৭২ সনে ভর্ত্তি হয়ে ’৭৪ সনে ঢাকা বোর্ডের অধীনে বিজ্ঞান বিভাগে এইচ.এস.সি. পাশ করেন । পরে ঢাকায় জগন্নাথ কলেজে ভূগোলে অনার্সে ভর্ত্তি হন এবং ’৭৭ সনে বি,এস-সি(অনার্স) ও ’৭৮ সনে এম.এস-সি পাশ করেন । ’৮৯ সনে বাংলাদেশ ল’ কলেজে এলএল.বি-তে ভর্ত্তি হয়ে ’৯১ সনে এলএল.বি ডিগ্রি অর্জন করেন । বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে ১৯ সেপ্টেম্বের ’৯৩ সনে আইনপেশা পরিচালনার সনদ নিয়ে ১১ অক্টোবর ’৯৩ সনে এশিয়ার বৃহত্তম আইনজীবী সমিতি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ভূক্ত হন । তিনি ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত ঢাকা জজ কোর্টে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর ও ২০০৭-২০০৯ সনে ঢাকা জেলা প্রশাসকের অধীনে ভি.পি. কৌশুলী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন । তিনি ২০০৬ সন থেকে নোটারী পাবলিকার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন । তিনি মাস্টার্স পাশ করার পর কিছুদিন ছোটখাটো ব্যবসার করতেন বলে জানান ।
তিনি ২৫ জানুয়ারী ১৯৮৫ সনে নরসিংদি জেলার সদর থানাধীন কাঁঠালিয়া গ্রামে এক সম্ব্রান্ত মুসলিম পরিবারে বিয়ে করেন । তাঁর শ^শুর ছিলেন মরহুম এ.জে.এম. আবদুল হালিম মোল্লা ও শাশুড়ী মিসেস রিজিয়া হালিম । শ^শুর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাইরেক্টর হিসাবে অবসর গ্রহণ করেছিলেন । তাঁর স্ত্রীর নাম আরাফাত সুলতানা । জগন্নাথ কলেজ থেকে ইতিহাসে মাস্টার্স পাশ করেছিলেন ও একজন নাট্য কর্মী ছিলেন । স্ত্রীর ভাইয়েরা সবাই প্রতিষ্ঠিত । সম্বন্ধী মাসুদ আহম্মেদ হালিম বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, শ্যালক ও শ্যালিকা ১. কাওসার আহম্মেদ হালিম বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আ্যপিলেট ডিভিশনের আইনজীবী, ২. জুনায়েদ আহম্মেদ হালিম বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী, জগন্নাথ বিশ^বিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারম্যান ও তাঁর স্ত্রী মারুফা আক্তার পপি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন, ৩. মোতাসিম আহম্মেদ হালিম, কহিনুর গ্রুপ অব ইন্ডাষ্ট্রিজের সেলস ম্যানেজার, ৪. হাবিব আহম্মেদ মুরাদ, সহ-সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটি, সে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার,সাবেক ভি.পি. ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বুয়েট শাখার সভাপতি ছিলেন, ৫. তারেক আহম্মেদ হালিম কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার, বি.সি.এস. ষ্টাফ কলেজে কর্মরত, ৬. তৌফিক আহম্মেদ হালিম,নাভানা গ্রুপের একাউন্টস অফিসার, ৭. রইসা সুলতানা বীথি, সিনিয়র শিক্ষক(ইংলিশ) খিলগাঁও মডেল হাই স্কুল, ৮. জেন্নিরা সুলতানা অন্তরা বাগেরহাটে একটি কলেজের অর্থনীতির প্রভাষক, ৯. সাব্বির আহম্মেদ কিরণ ব্যবসায়ী ।
জনাব মোশতাক আহম্মেদ ৫ ভাই ও ৫ বোনের মধ্যে ৯ম । তাঁর এক ছেলে ও এক মেয়ে ছিল । ছেলে মুশফিক আহম্মেদ ত্বরণ মতিঝিল মডেল হাই স্কুলের মেধাবী ছাত্র ছিল । এস.এস.সি পাশ করার পর ৭ জুলাই ২০০২ সনে বন্ধুদের সাথে কমলাপুর ঝিলে গোসল করতে গেলে মর্মান্তিক ভাবে পানিতে ডুবে মৃত্যু হয় । ছেলে হারানোর শোক এখনো তিনি ভুলতে পারেননি । একমাত্র মেয়ে মুশতারী আহম্মেদ ধানমন্ডি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সাইন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং এ প্রথম বর্ষের ছাত্রী । সে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে গোল্ডেন জি.পি-৫ নিয়ে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি পাশ করে এবং ৫ম ও ৮ম শ্রেণিতে বৃত্তিপ্রাপ্ত হয়।
তিনি জাতির জনকের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ৫ম শ্রেণি থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হন । জাতির জনকের সোহরাওর্দ্দী উদ্যানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ মঞ্চের ১০০ গজের মধ্যে থেকে শুনেছিলেন । সেদিন তৎকালিন ছাত্রলীগ নেতা রফিকুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে বেতকা স্কুল থেকে লঞ্চ যোগে সাড়ে তিন হাত লাঠি নিয়ে সভাস্থলে উপস্থিত হয়েছিলেন । তাঁর মরহুম পিতা সাড়ে তিন হাত লাঠিটি তৈরী করে দিয়েছিলেন । সেইদিনে সবকিছু এখনো চোখের সামনে ভাসে, এখনো মনে হয় কানে ভাষণের প্রতিধ্বনি শুনা যায় । জাতির জনকের ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে এলাকায় গিয়ে সংগ্রাম কমিটি গঠনসহ এলাকার জনগণকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করণের কাজে সক্রীয় অংশ গ্রহণ করেন ।
বিশ^ ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যার রাত ২৫ মার্চ ১৯৭১ । সেইদিন পাকহানাদারদের সুসজ্জিত সেনাবাহিনী নিরীহ নিরস্্র বাঙ্গালী জাতির উপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছিল । সেই রাতে ঢাকার ধ্বংসলীলার আগুনের লেলিহান শিখা দেখার জন্য তিনি সহ গ্রামের আবালবৃদ্ধবণিতা বেতকা বাজারে এসে সমবেত হন । দেখেন পঙ্গপালের মত সাধারণ মানুষ বৃদ্ধ-শিশুসহ ঢাকা থেকে গ্রামের দিকে আসতেছে । তখন সকলে মিলে ছোট ছোট লঞ্চ ও নৌকায় করে তাদেরকে ধলেশ^রী নদী পার করেন এবং যারা ক্ষুধার্ত তাদেরকে চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট ভাত যে যতটুকু পেরেছি সহযোগিতা করেছি । যারা হাঁটতে হাঁটতে ক্লান্ত হয়ে যেতেন তাদের বিশ্রামের জন্য বেতকা প্রাইমারী স্কুলে একটা শরণার্থী ক্যাম্প খোলা হয়েছিল । পাকহানাদারদের প্রতিরোধ করার জন্য বেতকা বাজারে ঢেঁডা, জুইত্তা, বল্লম, একফলা, লাঠি, রামদা ইত্যাদি নিয়ে পাহারার দায়িত্ব পালন করেন । পরবর্তীতে বেতকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুসলিমলীগ নেতা আবদুল কাউয়ুম পাকসেনাদের সহযোগিতার জন্য সভাপতি হয়ে শান্তি কমিটি গঠন করলে রফিকুল ইসলাম লিটনের নেতৃত্বে তিনি, সালাম সরকার, পটু খা, সেলিম খলিফা এলাকার এই কয়জনসহ অন্যান্য এলাকার অনেকে মিলে পাইকপারা হাইস্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক আলী হোসেন স্যারের বাড়িতে যান । সেখানে রাতে খাওয়া-দাওয়া করে নৌকাযোগে ২৫ জনের মত ভারতের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন । প্রথমে ধলেশ^রী, মেঘনা পাড়ি দিয়ে বেলতলী হয়ে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষার মধ্য দিয়ে রামচন্দ্রপুর পৌঁছেন । ওখান থেকে পায়ে হেঁটে কুমিল্লা হয়ে এক বাড়িতে পৌঁছেন । সেখানে এক মেম্বারের বাড়িতে আশ্রয় নেন । সেখান থেকে বোর্ডারের দূরত্ব ছিল আধা কিলোমিটার । উক্ত পয়েন্টে রাজাকার ক্যাম্প ছিল । রাজাকাররা টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের ভারতে যাওয়ার সুযোগ করে দিত । রাজাকাররা মাথা পিছু নিত ১৪০/ টাকা । সি.এন্ড.বি রোড়ে পাক সেনারা টহল দিত । অগাস্ট মাসের কোন এক সময়ে সবাই ভারত পৌঁছেন । সেখানে ত্রিপুরার আগরতলায় জয় বাংলা অফিসে পৌঁছেন । তখন তাঁদের সাথে মটুপপুরের ই.পি.আর সদস্য খালেক এবং তার মামাতো ভাই মোশাররফ , আলগি গ্রামের মজিবর, দক্ষিণ বেতকার আনসার কমান্ডার সফি ছিল । সেখানে ২১ দিন বঙ্গবন্ধু ক্যাম্পে সশ্রস্ত্র গেরিলা ট্রেনিং প্রাপ্ত হন । তখন ঐ ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন জহুর আহম্মেদ চৌধুরী । যাওয়ার পথে কাঁটাতারের বেড়া পার হওয়ার সময় ল্যান্ড মাইন্ড বিস্ফোরেণে সাথের একজন শহীদ হন । তাঁর বাড়ি টঙ্গীবাড়ি থানার পানহাটা গ্রামে । ভারত যাওয়ার সময় বেতকা স্কুলের শিক্ষক স্বাধীনতা সংগ্রামের সংগঠক ও টঙ্গবাড়ি থানার আহবায়ক মোহাম্মদ শাহজালাল শিকদার ওরফে আনোয়ার শিকদারের নিকট থেকে ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে প্রত্যয়নপত্র নিয়েছিলেন ।
গেরিলা ট্রেনিং শেষে ’৭১ সনের নভেম্বর মাসের ১ম সপ্তাহে একই পথে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন এবং সরাসরি ২নং সেক্টরের অধীনে তৎকালীন মুন্সিগঞ্জ মহকুমার টঙ্গীবাড়ি থানার মরহুম সরাফত হোসেন শিখদার রতনের কমান্ডের অধীনে যোগদান করেন । যুদ্ধকালীন থানা কমান্ডার ছিলেন সামছুল হক । স্বাধীনতা উত্তর পর্যন্ত তাঁদের নেতৃত্বেই বিভিন্নস্থানে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।
স্মরণীয় হলো ১৫ নভেম্বর ’৭১ ভোর রাতে টঙ্গীবাড়ি থানা আক্রমণ । সকল রাজাকার সেইদিন আত্মসমর্পণ করে । কয়েকজন রাজাকার সেইযুদ্ধে মারা যায় । অস্ত্র গোলাবারুদ নিজেদের দখলে নিতে সক্ষম হন । আরেকটি যুদ্ধ হলো ৩০ নভেম্বর সিরাজদি খান থানার তালতলা ইছাপুরা রোডে মালখা নগর রাজাকার ক্যাম্প আক্রমণ । রাজাকাররা দিকবিদিক হয়ে আত্মসমর্পণ করে । এছাড়া মুন্সীগঞ্জ আলদি নামকস্থানে সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন ।
’৭২ সনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে গ্রুপ কমান্ডার শরাফত হোসেন রতন শিখদারের নেতৃত্বে মুন্সিগঞ্জ ট্রেজারিতে অস্ত্র জমা দেন । অস্ত্র জমা দেওয়ার পর তাঁদেরকে মুন্সিগঞ্জ মিলিশিয়া বাহিনীতে ভর্ত্তি করা হয় । কিছুদিন ট্রেনিং নেওয়ার পর ক্যাম্প থেকে বলা হয় যারা ছাত্র পড়াশুনা করতে চাও তারা চলে যেতে পার । তখন তিনি উক্ত ক্যাম্প থেকে বাড়িতে চলে আসেন এবং পড়াশুনা শুরু করেন এবং ’৭২ সনে তিনি এস.এস.সি পাশ করেন ।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী, বাংলার অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ১৫ আগস্ট ’৭৫ সনে ইতিহাসের নৃশংসতম ভাবে সপরিবারে হত্যাকান্ডের রাতে তিনি ঢাকার গ্রীণ রোড়ে ষ্টাফ কোয়ার্টারে বন্ধুর শ^শুর বাড়িতে ছিলেন । সকালে কালো পোষাকধারীদের দেখেছেন । সেইদিন বুক ভেঙ্গে কান্না পেয়েছিল । মর্মাহত হয়েছিলেন । যা আজ ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় বলে জানান । হৃদয়ের টানে টুঙ্গীপাড়ায় জাতির জনকের সমাধীতে দুইবার জেয়ারত করার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলেন । জাতির জনক মুন্সিগঞ্জ হরগঙ্গা কলেজ মাঠে জনসভায় গেলে লাইনে দাঁড়িয়ে করমর্দন করার সুযোগ পেয়েছিলেন ।
তিনি জাপান, থাইল্যান্ড ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, শিলিগুড়ি, মেঘালয়, তিলজলা,হাওরা,ত্রিপুরা সফর করেছিলেন । দেশে কক্সবাজার , চট্রগ্রাম, সিলেট, বগুড়া, রাজশাহী, খুলনা, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ সফর করেছেন । ছাত্রজীবনে ভূগোল বিভাগে পড়ার কারণে ২১ দিন ক´বাজার ও ৩০ দিন সেন্টমার্টিন ছিলেন । থিসিস করার জন্য কক্সবাজারের জিলংজা মৌজা সার্ভে করেছিলেন ।
বর্তমানে তিনি পুরোপুরি আইনপেশায় নিয়োজিত । নিরিবিলি থাকতে পছন্দ করেন । পেট্রোল বোমায় যখন নিরীহ মানুষ মারা যায় তখন মর্মাহত হন । আজ এই বিভৎসতা দেখে কষ্ট পান । রাজাকারমুক্ত বাংলাদেশ কামনা করেন । ’৭১ সনের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার চান । তিনি জানান চাকুরীর আবেদন করার সময় মুক্তিযোদ্ধা সনদ জমা দেওয়ার কারণে চাকুরী পাননি । এই বিষয়টি অনেক পরে বুঝতে পেরেছেন । তখন আর চাকুরীর বয়স ছিল না । বর্তমানে তিনি কোন রাজনৈতিক দলের সাথে জড়িত নন । বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসেন, তাঁর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভালবাসেন । যদি সুযোগ পান শেখ হাসিনার সাথে সরাসরি সাক্ষাতের ইচ্ছার কথা জানালেন । সাক্ষাতকারটি ২ এপ্রিল ২০১৫ সনে গৃহিত ।

No comments:

Post a Comment