Sunday, 8 November 2015

মৃত্যুর মুখোমুখি মানুষের আহাজারী















                                                  ******মৃত্যুর মুখোমুখি মানুষের আহাজারি**********





এডভোকেট এ.কে.এম. আমিন উদ্দিন (মানিক)




                                                                   
১ আগস্ট ২০১৫ গিয়েছিলাম টুুুঙ্গিপাড়া । সরকারের মন্ত্রী পরিষদ সদস্য ও আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ 
ও অঙ্গ- সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা গিয়েছিল।জাতির জনকের ৪০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবসের শ্রদ্ধা জানাতে । ফেরার পথে আকাশ ছিল দূর্যোগপূর্ণ । মন্ত্রীদের জন্য একটি রো রো ফেরী দাঁড়িয়ে থেকে নিয়ে গেছেন। মন্ত্রী ও নেতৃবৃন্দ এবার বাস যোগে টুঙ্গিপাড়া গিয়েছিলাম্। মন্দ্রীদের ফেরীতে আমাদের জায়গা হয়নি। পরে জানালো হলো আর ফেরী চলবে না । নৌ -পরিবহন মন্ত্রীর সাথে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান কাওড়াকান্দির চেয়ে আরিচা ঘাঁটের অবস্থা আরো থারাপ । তিনি কাওড়াকান্দি ফেরীতে অপেক্ষা করতে বললেন । পরে একটা ফেরীর ব্যবস্থা করা হলো । আমরা ওঠলাম । রাত হয়ে গিয়েছে । পদ্মার মাঝ পথে এলে ফেরীতে হাটুঁ পরিমান পানি ওঠে যায়। মানুষের কান্নাকাটি শুরু হয় । অনেকে আল্লাহর জিকির ও দোয়া দুরুদ পড়তে থাকে । কেহ একজন আযানও দেয় । অনেকে বাসায় ফোন করে মাফ-সাফ ও নিয়ে ফেলেছেন । সম্ভাব্য মৃত্যুর আশংকায় সবাই আল্লাহর নাম নিচ্ছিলেন। এই যাত্রায় আল্লাহ আমাদের রহমত করেছেন। রাত ১২ টায় অবশেষে বাসায় ফিরলাম।আমরা বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের ব্যানারে গিয়েছিলাম আমাদের নেতৃত্বে ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর পি.পি. এডভোকেট মোঃ আবদুল্লাহ আবু । এতসব ঘটনার সময় আমরা ছিলাম গাড়িতে বসা । কান্নার রোল ছাড়া তেমন কিছু আমরা টের পাইনি । গাড়িতে ছিল আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট আবদুর রহমান হাওলাদার, ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী শাহ আলম, ।অতি.পি.পি মোঃ মিজানুর রহমান ও আমি । রহমান স্যারের বাড়ি মাদারীপুর তিনি নদীর এই রকম উত্তাল অবস্থার সাথে পরিচিত । ফেরী যখন কাঁপছিল তখন বেশী ভয় পাচ্ছিল মিজান স্যার । আর রহমান স্যার ওনাকে ভয়ের দিকগুলো বর্ননা করছিলেন আর হাসছিলেন।যেমন ফেরী ডুবে গেলে ভাসতে থাকবেন ,সাতঁরাবেন না ।ঢেউ যেইদিকে নিয়ে যাবে সেইদিকে যাবেন। মিজান স্যার বার বার বলছিলেন তিনি আর কখনো আসবেন না। ঘোরের মধ্যে আমাদের ফেরী ঘাটে এসে ভিড়লো।মিজান স্যার বাসায় ফোন করে ভাবীকে ফেরী ঘাটে ফেরার সুসংবাদটি জানালেন । একটি অভিজ্ঞতা হয়তো সারাজীবন মনে থাকবে আমাদের। মৃত্যুর মুখোমুখি মানুয়ের অবস্থান।

No comments:

Post a Comment