Sunday, 8 November 2015

মোঃ আমানত উল্লাহ সাহেবের জীবনী













মোঃ আমানত ‍উল্লাহ



এডভোকেট এ.কে.এম. আমিন উদ্দিন (মানিক)




চাকুরী জীবনের পাশাপাশি সমাজ সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত মো: আমানত উল্যাহ |
সডক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এর ভগ্নিপতি ও আমার সেজো ভাই এডভোকেট এ.কে.এম. সিরাজল ইসলাম এর শ^শুর মো: আমানত উল্যাহ । চাকুরী জীবনে আই.আর. ও. (ডিভিশনাল ইনসপেক্টর অব রেজিষ্টেশন অফিসার ) হিসেবে অবসর নেন। চাকরীর পাশাপাশি ফটিকছটি কলেজ ও চৌধুরী হাট কলেজ, ফটিকছটি গার্লস জুনিয়র হাই স্কুল ও ফটিকছটি নর্থ দরুম প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।
জন্ম ১ জানুয়ারী ১৯৪৭ । পিতার নাম মরহুম নুরুল হক মিয়া ও মাতার নাম ওজিবা খাতুন । মাতার বয়স ১০২ বৎসর । আল্লাহর রহমতে সুস্থ্য আছেন। বাড়ি নোয়াখালী জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরপার্ব্বতী ইউনিয়নের মেহেরুন্নেছা গ্রামে পাটোয়ারী বাড়ি। উত্তর পূর্ব চরপার্ব্বতী প্রাইমারী স্কুল থেকে ৫ম শ্রেণি ও বসুরহাট এ.এইচ.সি. উচ্চ বদ্যালয় থেকে ১৯৬২ সনে তৎকালীন ইস্ট- পাকিস্তান সেকেন্ডারী বোর্ডের অধীনে ম্যাট্রিকুলেশন করেন। ফেনী কলেজ থেকে ’৬৪ সনে এইচ.এস.সি কুমিল্লা বোর্ডের অধীনে, ফেনী কলেজ থেকে ’৬৬ সনে ঢাকা বিশ^ বিদ্যালয়ের অধীনে ইংরেজী মাধ্যমে ডিগ্রী অর্জন করেন। প্রথমে কোম্পানীগঞ্জের চৌধুরীহাট বি.জামান জুনিয়র হাই স্কুলে প্রধানশিক্ষক হিসেবে যোগ দিয়ে স্কুলের উন্নতিকরণে সচেষ্ট হন। তারপর ’৬৭ সনে স্যাটেলমেন্ট কানুনগো হিসেবে ঢাকায় যোগ দেন। এরপর ই.পি.সি.এস.( ইস্ট-পাকিস্তান সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২ ডিসেম্বর ’৬৯ সাব-রেজিষ্টার হিসেবে কবিরহাট সাব-রেজিষ্টী অফিসে যোগদান করেন।তারপর চট্রগ্রামের ফটিকছটি ক্রমান্বয়ে চাটখিল,হাতিয়া,পুনরায় ফটিকছটি,বসুরহাট, সোনাইমুডি,ফেনী সদর,সাতকানিয়া,চৌদ্দগ্রাম,লক্ষীপুর,মতলব,নোয়াখালী সদর,প্রমোশন হয়ে জেলা রেজিষ্টার হিসেবে ভোলা,নোয়াখালী ও লক্ষীপুর জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। সর্বশেষ আই.আর.ও ( ডিভিশনাল ইনসপেক্টর অব রেজিষ্টেশন অফিসার ) হিসেবে ২০০৩ সনে অবসর নেন। ফটিকছটিতে থাকালীন ’৭০ সনে ফটিকছটি কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। ’৭২ সনে ফটিকছটি গার্লস জুনিয়র হাই স্বুল ও ফটিকছটি নর্থ দরুম প্রাইমারী স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন। ’৮৭ সনে কোম্পানীগঞ্জের তাঁর দাদা মরহুম হানিফ মিয়ার প্রতিষ্ঠিত দাদীর নামের স্কুল মেহেরুন্নেছা এম.ই. স্থানান্তর করে হাই স্কুলে রুপান্তর করেন। ১৯৯৯ সনে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চৌধুরীহাট কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি ১৯৬৭ সনে বসুহাট এ.এইচ.সি. সরকারী হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের পিতা মরহুম মো: মোশাররফ হোসেনের মেয়ে তাহেরা বেগমকে বিয়ে করেন। তাঁর ৪ ছেলে ও ৩ মেয়ে। ১.শাহীনা আক্তার এম.এ.বি.এড. স্বামী অধ্যাপক ফারুক আহমেদ ভ’ইয়া,ফেনী আলিয়া মাদ্রাসায় কর্মরত। ২.শামীমা আক্তার এম.এস.এস. স্বামী এডভোকেট এ.কে.এম. সিরাজুল ইসলাম, নোয়াখালী জজ কোর্টে প্র্যাকটিসরত। আমার সেজো ভাই। ৩. মাহবুব রশিদ মন্জু ডিগ্রি পাশ। ৪. শিরিন আক্তার ইন্টারমিডিয়েট,স্বামী ক্যাপ্টেন আবুল হোসেন,৫. ড: মামুনুর রশিদ এম.বি.এ. পি. এইচ.ডি. ইউনিভারসিটি অব নটিংহ্যাম, লন্ডন এর মালয়েশিয়া ক্যাম্পাসে এসিসষ্ট্যান্ট প্রফেসর ফাইন্যান্স হিসেবে কর্মরত। স্বপরিবারে মালয়েশিয়ায় । ৬. হারুনুর রশিদ মারুফ এল.এল-বি(অনার্স) এল.এল.এম.৭. হুমায়ুন রশিদ মিরাজ।
তিনি ব্যক্তি জীবনে অত্যন্ত বন্ধু বাৎসল, ন্যায়পরায়ণ ও কঠোর পরিশ্রমী।। সমাজের পরিচিত সকলের সুখ-দু:খের সাথী। মুরুব্বী হিসেবে কোম্পানীগঞ্জের সকলে মান্য করে। তিনি বসুরহাটে কে.জি. স্কুল রোডে ও ঢাকায় বাড্ডায় বাড়ি করেছেন। তিনি এক কথায় সফল ব্যক্তিত্ব ও সমাজসেবক। আমি বারডেম হাসপাতালের কেবিনে বসে তাঁর স্মৃতি স্মারণ শুনেছিলাম।

No comments:

Post a Comment