Tuesday, 5 April 2016

বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট পরিমল কুমার বিশ্বাস-এর জীবনীঃ-

                            *****বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট পরিমল কুমার বিশ্বাস-এর জীবনীঃ-******


 জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের সদস্য সচিব, জাতীয় পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও  ঢাকা আইনজীবী সমিতির সাবেক সহ-সভাপতি ।
তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাধীন বুজরুবাঁখই গ্রামের নিজ বাড়িতে ১ সেপ্টেম্বর ১৯৫০ সনে জন্ম গ্রহণ করেন। বর্তমানে ২/১ কোর্ট হাউজ ষ্ট্রীট, কোতয়ালী ঢাকায় চেম্বার নিয়ে আইনপেশা পরিচালনা করে আসছেন। পিতার নাম মৃত সন্তোষ কুমার বিশ্বাস ও মাতার নাম মৃত জগদেশ্বরী বিশ্বাস ।
তিনি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালী থানাথীন বুজরুবাঁখই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন। কুমারখালী এম.এন. হাই স্কুলে ৬ষ্ঠ থেকে ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়েন এবং কুমারখালী জে.এন. হাই স্কুল থেকে ১৯৬৭ সনে যশোর বোর্ডের অধীনে এস.এস.সি পাশ করেন। কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে ’৬৯ সনে যশোর বোর্ডের অধীনে এইচ. এস.সি পাশ করেন। ’৭২ সনে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কুষ্টিয়া সরকারী কলেজ থেকে বি.কম. ডিগ্রী অর্জন করেন।’৭৫ সনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.কম.এবং একই বছরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সেন্ট্রাল ল’ কলেজ থেকে এলএল.বি ডিগ্রী অর্জন করেন। ’৮৭ সনের ৮ এপ্রিল বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে আইনপেশা পরিচালনার অনুমতি প্রাপ্ত হয়ে এশিয়ার ঐতিহ্যবাহী ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে ২৮ আগস্ট ১৯৮৮ সনে সদস্যভূক্ত হন। ২০০৭-০৮ সনে তিনি ঢাকা আইনজীবী সমিতির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।
স্কুল জীবন থেকে তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ শুরু করেন এবং তখনই কুমারখালী থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ’৬৫ সনে যখন ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ শুরু হয় তখন মরহুম জননেতা আবদুর রাজ্জাকের নির্দেশে  সিভিল ডিফেন্স ট্রেনিং গ্রহণ করেন। সেই সময় আবদুর রাজ্জাক বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন।’৬৮-’৬৯ সনে কুস্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ছিলেন।
১৯৭১ সনে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে ৬ এপ্রিল সাময়িকভাবে কুষ্টিয়া শত্রুমুক্ত হলে তিনিসহ সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আবদুর রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম রবি, মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আযাদ (কামাল মাস্টার),মুক্তিযোদ্ধা সুনিল বিশ^াস, মুক্তিযোদ্ধা মরহুম লুলু সহ একসাথে নিজ বাড়িতে ভারত  গিয়ে মুক্তিযুদ্ধের ট্রেনিং গ্রহণের জন্য বৈঠকে বসেন, বৈঠক শেষে তাঁর মাতা জগদেশ^রী বিশ^াসের নিকট থেকে অনুমতি নিয়ে ঐদিন রাতেই রওয়ানা দেন। কুমারখালী গড়াই নদীর খেয়াঘাট নৌকা যোগে পার হয়ে পদব্রজে তিন দিন ধরে হেঁটে ভারতের শিকারপুর সীমান্ত যান। সীমান্ত পার হয়ে পরের দিন ভারতের নদীয়া জেলার করিমপুর ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে যাওয়ার পর নূরে আলম জিকু ও  আবদুল বারীর সাথে দেখা হয় এবং ঐ দিনই রাতে তোফায়েল আহম্মেদ ও নূরে আলম জিকু তাঁেদর  ছয় জনের ভিতর থেকে তাঁকে, আবদুর রাজ্জাক, আবুল কালাম আজাদ(কামাল মাস্টার), সুনিল াবশ্বাস ও লুলুকে উচ্চতর ট্রেনিং এর জন্য রিক্রুট করে, সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭ টায় তাঁদেরকে গাড়িতে করে বেতায় ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। বেতায় ক্যাম্পে তাঁেদর সাথে আরো ৫ জন যোগ হয়। ৫ জনের নাম হলো তাজ মোহাম্মদ খান, শামসুল আলম পিন্টু,আবদুল গণি,মঞ্জু সাত্তার ও সুশীল বিশ^াস। সেখান থেকে  তাঁদেরকে গাড়িযোগে নিয়ে কলিকাতার প্রিন্স অব স্ট্রীটের একটি বাড়িতে তাঁদের থাকার ব্যবস্থা হয়। পর দিন হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনযোগে ফারাক্কা গিয়ে নামেন। সেখানে ফেরী পার হয়ে ট্রেনে ওঠে তাঁরা জলপাই গুড়িঁ যান, জলপাই গুড়িঁ স্টেশন থেকে তাঁদেরকে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়ি করে জলপাই গুড়িঁ ট্রানজিট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ট্রানজিট ক্যাম্পে তাঁর সাথে দেখা হয় আফতাব ভাই,(পরবর্তীতে জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের ভি.সি.), হাসানুল হক ইনু,আ.ফ.ম. মাহবুবুল হক,মহিউদ্দিন( বর্তমানে মুন্সিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি)।  সেখানে ৭ দিন থাকার পর তাঁদেরকে শিলচর বিমান বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে বিমান যোগে বাগডুগরা বিমান বন্দরে নামার পর সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে  হাফলং ট্রেনিং সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। হাফলং-এ এক মাস ৭ দিন উন্নততর গেরিলা ট্রেনিং নেন। ট্রেনিং ইনস্টাক্টর ছিলেন  ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্ণেল বি.এন. চৌধুরীর, ট্রেনিং-এর নিয়ম ছিল প্রতিদিন সকাল ৬ টায় মাঠে গিয়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও পিটি প্যারেড করে ৭ টায় ব্যারাকে ফিরে নাস্তা করার পর মূল ট্রেনিং-এ নিয়ে যাওয়া হতো। পরে বেলা ১ টার পর্যন্ত থিওরিটিক্যাল ক্লাশ করে আবার ১ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত লাঞ্চ ও ২ টার পর থেকে জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে প্র্যাকটিক্যাল করানো হতো। একমাস পার হওয়ার পর ৭ দিনের জন্য আলাদা পাহাড়ে নিয়ে উন্নত গেরিলা ট্রেনিং প্রদান করা হয়। এরপর ব্যারাকে আসার পর সেখান থেকে বিমান যোগে  কলিকাতার দমদম বিমানবন্দরে এসে নামেন। সেখান থেকে ব্যারাকপুর ক্যান্টনমেন্টের একটি ক্যাম্পে রাখা হয়। সেখানে ৪ দিন বিশ্রাম নেওয়ার পর ১১ আগস্ট ’৭১ ভারতীয় সেনাবাহিনীর গাড়িযোগে  বাংলাদেশের শিকারপুর সীমান্তে নিয়ে আসা হয়। তারপর ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল শিকারপুর সীমান্ত পার হয়ে খাদিমপুর চরে এসে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। পরের দিন সেখান থেকে রাত্রি বেলা রওয়ানা হয়ে গন্তব্য কুষ্টিয়ার কুমারখালী শিলাইদহ এলাকায় এসে সঙ্গী মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রাজ্জাকের বাড়িতে ওঠেন। তখন ফজর নামাজের আযান হচ্ছে। তাঁদের সাথেই ছিল মুজিব বাহিনীর জেলা কমান্ডার হিসেবে নোমান ভাই,আবু জাফর, আবদুর সাত্তার, আবদুল গনি, শামসুল আলম পিন্টু, লুলু, আবুল কালাম আজাদ(কামাল মাস্টার)। তখন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পান রানু ভাই এবং ডেপুটি কমান্ডারের দায়িত্ব পান মরহুম আবদুর রাজ্জাক। ৮নং সেক্টরের অধীনে তোফায়েল আহম্মেদের কমান্ডে অধীনে অর্থাৎ মুজিব বাহিনীর অধীনে ছিলেন তাঁরা। সাথে আরো ছিলেন তাজ মোহাম্মদ খান, কুষ্টিয়ার দুবরারচর যুদ্ধে তাজ মোহাম্মদ খান শহীদ হন। সেই যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন নোমান ভাই ও আবু জাফর, তিনি সেই যুদ্ধে সরাসরি অংশ নেন। যুদ্ধ হয়েছিল পাকিস্তানী আর্মীর সাথে। ঐ যুদ্ধে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। সেই যুদ্ধে ৫ থেকে ৭ জন পাকহানাদার নিহত হয়। যুদ্ধে পাকহানাদাররা পিছু হেঁটে কুষ্টিয়া শহর থেকে আবার মর্টার সেলিং করতে করতে সামনে আসে। মর্টার সেলিং-এর কারণে ৭ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।
২ ডিসেম্বর ’৭১ রাত দেড়টার সময় তাঁরা কুমারখালী পদ্মার পাড়ে হাসিমপুর বাজার নামক স্থানে পাকিস্তানী মিলিশিয়া বাহিনীর ক্যাম্প আক্রমণ করা হলে মিলিশিয়া বাহিনীর সাথে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়, তখন মিলিশিয়া বাহিনী হাশিমপুর বাজারে অগ্নি সংযোগ করে পিছনের দিকে পালিয়ে যায় । সেখান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা ডেপুটি কমান্ডার মরহুম আবদুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে শিলাইদহ কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বাড়ির নিকটে থানা কমান্ডার মরহুম রানু ভাইয়ের সাথে যোগ দেন। সেখান থেকে রানু ভাইয়ের নেতৃত্বে তাঁরা কয়া বাজারে ক্যাম্পে আক্রমণ এবং দখল নেয় । সেখান থেকে পরদিন খোকসা থানার গোপুগ্রাম বাজারে   রাজাকার ক্যাম্পে আক্রমণে রানু ভাইয়ের নেতৃত্বে অংশ নেন এবং সেই যুদ্ধে রাজাকারদেরকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করা হয় এবং সেখান থেকে ৭টি থ্রি নট থ্রি রাইফেল ও শতাধিক গুলি মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ৯ ডিসেম্বর ভোর ৬ টা হতে সারাদিন ব্যাপি কুমারখালী শহরে মিলিশিয়া,রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সাথে   মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড যুদ্ধ হয়। মূল যুদ্ধটা হয় কুমারখালী উপজেলা চত্বরে, সেই যুদ্ধে তিনিসহ মরহুম আবদুল বারী খানসহ অনেকে অংশ নেয় এবং সেই যুদ্ধে আলবদর বাহিনীর কমান্ডার সুলতান সহ তিনজন রাজাকার ও মিলিশিয়া বাহিনীর সদস্য মুক্তি বাহিনীর গুলিতে নিহত হয়। সেই যুদ্ধ চলাকালিন সময়ে সময়ে কুমারখালী ষ্টেশন মাস্টার তাঁদেরকে কাছে খবর পাঠান  যে যশোর ক্যান্টনমেন্ট হতে একটি বিশেষ ট্রেন নিয়ে পাক-সেনাবাহিনী কুমারখালীর দিকে আসছে,এই খবর পাওয়ার সাথে সাথে তাঁরা চড়াইখাল গরাই ব্রীজের নিকটে অবস্থানকারী মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পে তাৎক্ষণিকভাবে খবর পাঠানো হয়। সেখানে আবদুল গনি সোলায়মান জোয়ারর্দ্দার, আবদুর রহমান(মাস্টার), নুরুল ইসলামসহ আরো অনেকে ছিল।তাঁদের নেতৃত্বে ট্রেনটি গড়াই ব্রীজ অতিক্রম করার সাথে সাথে তাঁরা সেখানে লাইন চ্যুত করে দেয় এবং তখন সেখানে প্রচন্ড যুদ্ধ হয়, সেই যুদ্ধে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর অনেক জোয়ান মারা যায়। ঐদিনই কুমারখালী শহর থেকে তাঁরা রাজাকার,আলবদর ও মিলিশিয়া বাহিনীকে বিতাড়িত করে কুমারখালী মুক্ত করতে সক্ষম হন এবং বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়।
দেশ স্বাধীনের পর তিনিসহ সকলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে মরহুম জননেতা আবদুর রাজ্জাক,মরহুম জননেতা ফজলুল হক মনি, জননেতা তোফায়েল আহমেদ,জননেতা সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে ঢাকায় এসে বঙ্গবন্ধু ষ্টেডিয়ামে অ¯্র জমা দেই এবং বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে স্ব স্ব এলাকায় ফিরে যাই এবং দেশ গড়ার কাজে অংশ গ্রহণ করি।
তিনি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ রেডিও-এর মাধ্যমে শুনে উজ্জীবিত হয়েছিলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সপরিবারে ১৯৭৫ সনের ১৫ আগস্টের বিশ্ব ইতিহাসের মর্মন্তিক হত্যাকান্ডের বিষয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন আবু সায়িদ হলে  ভোর ৬ ঘটিকার সময় শুনেন এবং স্তব্ধ ও মর্মাহত হন। সংবাদ জানার পর পর হল থেকে বের হয়ে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার আসামি আলী রেজা সাহেবের ভাই আলী নেওয়াজ সাহেবের বাসায় ওঠেন। সেখানে থেকে দলীয় সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় ছিলেন।
হৃদয়ের টানে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে এ পর্যন্ত ২০ বারের মত গিয়েছেন। আজীবন প্রতি বছর যাওয়ার ইচ্ছা আছে।
তিনি বঙ্গবন্ধু শহীদ হওয়ার পর তাঁকে আটক করে কুষ্টিয়া জেলে পাঠানো হয়। সেখানে বাকশালের কুষ্টিয়া জেলা শাখার সেক্রেটারী জনাব এডভোকেট শামসুল আলম দুদু ভাই, বর্তমান কুষ্টিয়া পৌর মেয়র আনোয়ার আলী, সাবেক মন্ত্রী সরদার আমজাদ হোসেন,কুষ্টিয়া সরকারী কলেজের ভি.পি. গিয়াস মিন্টু এবং বর্তমান জেলা পরিষদ প্রশাসক জাফর ভাই সহ তাঁরা অনেকে ডিটেশনমূলে কারাবরণ করেন।
তিনি রাজবাড়ী জেলার সদর থানাধীন আটদা পুনিয়া গ্রামে ১৯৮৯ সনের ২৪ নভেম্বর তারিখে আটদা পুনিযা হাইস্কুলের শিক্ষক মৃত সুধীর কুমার দাশের প্রথমা কন্যা স্বপ্না রানী দাসের সহিত বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। মিসেস স্বপ্না রানী দাস বি.এ; বি.এড বর্তমানে ঢাকা শহীদ নবী মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছেন। তিনি দুই কন্যার জনক। বড় কন্যা মাধুরী বিশ্বাস সফট্ওয়ার ইঞ্জিনিয়ার, সে সাধারন বীমা কর্পোরেশনের  এ্যাসিস্টেন্ট   ম্যানেজার পদে কর্মরত । স্বামী মিথুন কুমার দাস টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার পারা গ্রামের অধিবাসী মিথুন কুমার দাস টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার । বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক পদে কর্মরত । ছোট কন্যা ডাঃ সোমা বিশ্বাস গণস্বাস্থ্য মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে এম.বি.বি.এস পাশ করে বর্তমানে মিটফোর্ড হাসপাতালে গাইনী সার্জারীর উপর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ।
তিনি ভারত সফর করেছেন,দেশে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত,রাঙামাটি, সিলেটের জাফলং,দিনাজপুরের রামসাগর, টুঙ্গীপাড়া, বগুড়া মহাস্থানগড়, সুন্দরবন,বরিশাল সহ অনেকগুলো জেলা সফর করেছেন।
বর্তমানে তিনি হিন্দু,বৌদ্ধ, খৃস্টান  ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় সদস্য এবং জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক ও জাতীয় আইনজীবী ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন ।
তিনি অবসরে বই পড়েন, গান শুনেন । বাগান করতে ভালবাসেন । গ্রামের সাথে আছে নিবিড় সম্পর্ক, প্রতিমাসে কম পক্ষে দুইবার গ্রামের বাড়িতে যান ।
আইনাঙ্গনে তিনি একজন সজ্জন ভাল আইনজীবী, দীর্ঘ সময় ন্যায়ের সাথে আইনপেশা পরিচালনা করে আসছেন।
সাক্ষাৎকারটি ৩ ডিসেম্বর ২০১৫ সনে গৃহিত । গ্রহণে- এডভোকেট এ.কে.এম. আমিন উদ্দিন(মানিক), সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ,ঢাকা বার শাখা।   
 
    


1 comment: